স্লিপ ডিস্ক এমন একটি রোগ যা আমাদের মেরুদন্ডের টিসুর মধ্যে থেকে নরম কুশন বেরিয়ে আসার ফলে স্নায়ুতে চাপ দিতে থাকে । এছাড়া বয়সজনিত কারণে মেরুদন্ডের হাড়ের নমনীয়টা কমে যাওয়ার কারণে এই ব্যাথা শুরু হতে পারে । এটি মেরুদন্ডের যেকোনো অংশ অর্থাৎ ঘাড় থেকে নিচের দিকের কোমরের অংশ পর্যন্ত দেখা যায়।
প্রধানত যে লক্ষণগুলি স্লিপ ডিস্ক হলে দেখা যায় সেগুলি হল :
হাতে ও পায়ে ব্যাথা
ঘাড়ে ব্যাথা
কোমরে ব্যাথা
পেশীর দুর্বলতা এবং অবস ভাব
স্লিপ ডিস্ক এর পেছনে যে যে বিষয়গুলো দায়ী থাকে :
শারীরিক ওজন –দেহের ওজন স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশী হলে তা কোমরের দিকে চাপ সৃষ্টির কারণে দেখা যায় ।
জীবিকা – বর্তমানে বহু মানুষ দীর্ঘক্ষণ ঘরে বসে কাজ করার ফলে ঘাড়ে –পিঠে ব্যাথা দেখা যায়,যেটি বাড়াবাড়ি হলে স্লিপ ডিস্ক এর সমস্যায় পরিণত হয়।
জিনগত সমস্যা –পারিবারিক সূত্রে অনেকাংশে এই ব্যাথা দেখা যায় ।
এছাড়াও অনেকক্ষণ গাড়ি চালানো , ধূমপান এই ব্যাথার কারণ হতে পারে ।
এই ব্যথা ক্রমশ ঘাড় থেকে কোমরের দিকে নামতে শুরু করলে আর সেইসাথে পেশীর দুর্বলতা ও অবস ভাব বাড়লে তাড়াতাড়ি ডাক্তার এর পরামর্শের প্রয়োজন । ডাক্তাররা যেসব পরীক্ষার মাধ্যমে এই ব্যাথার চিকিত্সা করে থাকেন সেগুলি হল X-RAY,CT SCAN ,MRI, EMG, MYELOGRAM ইত্যাদি।
·
ওষুধ: রোগীর অবস্থার ভিত্তিতে ডাক্তাররা ব্যাথা উপসমকারী কিছু ওষুধ দিয়ে থাকেন যেগুলো ব্যথার সাথে ফোলাভাব ও পেশীর অসাড়তা কমাতে পারে ।
· Steroid injection : ওষুধ খেয়ে ব্যাথা না কমলে অনেকক্ষেত্রে মেরুদন্ডের স্নায়ুর চারপাশে injection দেওয়া হয় যার ফলে ব্যথার ফোলাভাব কমে গিয়ে রোগী আগের থেকে সক্রিয় হতে পারে ।
· ব্যায়াম : এছাড়া ষ্ট্রেচিং ব্যায়াম ও aerobic exercise যেমন হাটা ,সাইকেল চালানো ইত্যাদি মেনে চললে পেশীর নমনীয়টা বজায় থাকে ।
স্লিপ ডিস্ক প্রতিরোধের উপায় গুলি হল :
নিয়মিত ব্যায়াম ,হাটার অভ্যাস ।
সুষম খাদ্য মেনে দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখা ।
একটানা বসে বা দাড়িয়ে কাজ করা এড়িয়ে চলা ,কিছুসময় বিরতি আবশ্যক ।
শোয়া ,বসা এবং দাড়িয়ে থাকার ভঙ্গিমা সঠিক রাখা ।
এছাড়া বয়স্ক দের ভারী জিনিস তোলা ,নামানো বন্ধ রাখা ।
ধূমপান এড়িয়ে চলা ইত্যাদি।।
Comments