“ মাইগ্রেইন “এমন একটি মাথাব্যাথা যা মাথার একপাশ থেকে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হয় । মাইগ্রেইন একজন ব্যক্তির শারীরিক কিছু বিশেষ অসুবিধা সৃষ্টি করে ,যেগুলি হল :
আলো বা শব্দের প্রতি স্পর্শকাতরতা অর্থাৎ খুব বেশী আলো চোখে পড়লে বা শব্দ কানে আসলে বিরক্ত বোধ করা ।
কিছু সময় কোনো গন্ধের প্রতি অনিচ্ছা ও অসহনীয় বহি:প্রকাশ ।
এছাড়া বমি বমি ভাবের ফলে খাওয়ার প্রতি অনীহা ইত্যাদি ।
মাইগ্রেইন এর ব্যাথা সাধারণত কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে । খুব বেশি ব্যাথা হলে তা দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে । আজ আমরা আলোচনা করব মাইগ্রেইন রোগের কারণ ও প্রতিকার । আর কি ভাবে উপকার পাওয়া সম্ভব ? জেনে নিন গুরুত্তপূর্ণ তথ্য।
মাইগ্রেইন কাদের বেশি হয় ?
জেনেটিক ফ্যাক্টর – অনেক সময় দেখা যায় যে মাইগ্রেন বাবা বা মা এর থাকলে তা ছেলে মেয়ের ও হতে পারে।
বয়স ও লিঙ্গ - মাইগ্রেন সাধারনত মেয়ে দের ছেলেদের তুলনায় বেশী হয়। আর মাইগ্রেন যে কোনো বয়েসেই হতে পারে ।
হরমোন জনিত সমস্যা – ঋতুকালীন সময়ে মহিলাদের মধ্যে হতে পারে ।
হতাশা ,ক্লান্তি ও ঘুমের সমস্যা
অতিরিক্ত ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন
এইসব লক্ষণ গুলি দেখা গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার ।
মাইগ্রেন এ কি কি পরীক্ষা করতে হতে পারে?
মাই গ্রেন কোনো পরীক্ষায় ধরা পরে না । কিন্তু কয়েক টি পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার সঠিক ভাবে এই মাথা ব্যাথা র চিকিৎসার প্রয়োজনে । যেমন কিছু বিশেষ রক্ত পরীক্ষা , এম আর আই (MRI), CT Scan এবং EEG ইত্যাদির।
মাইগ্রেইন এর ব্যাথা নিরাময় এর জন্য যে যে বিষয় গুলো মনে রাখা দরকার সেগুলি হল :
ব্যাথা উপশমকারী এবং প্রতিরোধমূলক কিছু ওষুধ চিকিত্সক এর পরামর্শ অনুযায়ী মেনে চলা । এই ওষুধগুলি নিয়মিত খেলে ব্যাথার তীব্রতা কমতে শুরু করে ।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী “BOTOX Injection” প্রাপ্তবয়স্ক দের মাইগ্রেইন প্রতিরোধে সাহায্য করে। “BOTOX” হল একটি নিউরোটক্সিন, যা “Clostridium botulinum “ নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি হয় ।
এছাড়াও জীবনধারা পরিবর্তন ও কিছু ঘরোয়া প্রতিকার মাইগ্রেইন কমাতে পারে :
সুষম খাবার ও পর্যাপ্ত জল পান
একটি অন্ধকার ও শান্ত ঘরে বিশ্রাম –সাথে পর্যাপ্ত ঘুম
ধ্যান ও যোগব্যায়াম অনুশীলন ইত্যাদি।
About Dr Debjyoti Dutta -
দেবজ্যোতি দত্ত একজন বিশিষ্ট পেইন স্পেশালিস্ট, যিনি বিভিন্ন ধরণের 'ইন্টারভেনশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট' পদ্ধতি প্রয়োগ করে ব্যথার রোগীদের চিকিৎসা করেন। তিনি ২০০৩ সালে কলকাতার মেডিকেল কলেজ থেকে অনার্স সহ এমবিবিএস পাশ করেন এবং তারপর লখনৌর কিং জর্জেস মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি করেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট অফ পেইন, ইউএসএ থেকে ইন্টারভেনশনাল পেইন প্র্যাকটিসে ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে কলকাতার ফর্টিস হাসপাতাল এবং সমব্যথী পেইন ক্লিনিকে পেইন মেডিসিনের কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করছেন।ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত পেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে বিভিন্ন নিবন্ধ ও বই প্রকাশ করেছেন। তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও ফেলোশিপ পেয়েছেন তাদের পেইন মেডিসিনের কাজের জন্য।
Comentários